বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত পটুয়াখালীর প্রথম শহীদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হৃদয় চন্দ্রের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধি, ডিন, প্রক্টর, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, রেজিস্ট্রারসহ একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টায় পটুয়াখালীতে পৌঁছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ও বর্তমানে পটুয়াখালী সদরের বাসায় শহীদ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ হৃদয় চন্দ্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে এলএলএ অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ আব্দুল লতিফ, বিএ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, প্রফেসর মোহাম্মদ জামাল হোসেন, প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ এমরান হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আরিফুর রহমান নোমানসহ ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহীদ হৃদয় চন্দ্রের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, শহীদ হৃদয়, শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধসহ সহস্রাধিক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা আপনাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারবো না; তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আপনারা যাতে সম্মানের সাথে জীবপ-যাপন করতে পারেন সে বিষয়ে আমার ক্ষুদ্র পরিসর হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদ সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হৃদয় চন্দ্র। তিনি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার রতন তরুরা ও অর্চনা রানী দম্পতির একমাত্র পুত্র সন্তান।